প্রতিষ্ঠানের মটো :

পরিচিতি :
দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকদের সুনাগরিক ও নেতৃত্বের গুণসম্পন্ন আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেতনাকে ধারণ করে, গতানুগতিক শিক্ষা পদ্ধতির একঘেঁয়েমি ও সংকীর্ণতা মুক্ত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার প্রত্যয় নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে "ভাদুরিয়া মডেল স্কুল " । শিক্ষার্থীকে সম্পুর্ণ ও যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষরুপে গড়ে তোলার প্রত্যয় আমাদের নিরন্তন অভিযাত্রা সোনালী স্বপ্নময় আগামীর পথে।
অবস্থান ও প্রতিষ্ঠা:
দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের বিখ্যাত বাণিজ্যকেন্দ্র ভাদুরিয়া বাজারে ২০১৮ সালের ০৪ সেপ্টেম্বর “ স্কুল অব মডার্ন সায়েন্স ” নামে যাত্রা শুরু। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১৭ ই সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করে “ ভাদুরিয়া মডেল স্কুল ” নামকরণ করা হয়। বিদ্যালয়টি বর্তমানে বাজারের পূর্ব পাশের মোবাইল টাওয়ার হতে ১৮০ গজ পূর্বে মেইন রোড সংলগ্ন খাদ্য গুদামের সামনে অবস্থিত।
একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও মেধার সঠিক বিকাশ সাধন এবং নৈতিকতার আত্মবিশ্বাসী সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে বিজ্ঞানভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম, পদ্ধতিগত শিক্ষা, নিয়মিত পরীক্ষা, ধারাবাহিক অনুশীলন, আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার পূর্বক পাঠদান করা হয়্ রাজনীতি ও ধূমপান মুক্ত, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল শিক্ষা পরিবেশ।
সুপরিকল্পিত শিক্ষা পদ্ধতি, দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষক মন্ডলীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এখানে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে । বিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীন পরীক্ষা সহ পিইসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল অত্যন্ত ভাল। সকল পাবলিক পরীক্ষায় বিগত বছরগুলোতে প্রায় শতভাগ সাফল্য আমাদের একটি বড় অর্জন । তবে শুধু ভাল ফল অর্জনই নয়, মানসম্মত শিক্ষা ও প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য । আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি । আশা করছি অচিরেই এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের প্রতিভা বিকাশে উজ্জ্বল স্বাক্ষর রাখার পাশাপশি নিজেদেরকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে ।
বিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য :
“সুশিক্ষা গ্রহণ করবো, স্মার্ট দেশ গড়বো”
- ক্লাস শুরুর ১০ মিনিট আগে ক্লাসে প্রবেশ এবং কোরআন তিলাওয়াত ও জাতীয় সঙ্গীত, শপথ বাক্য পাঠ করেদৈনিন্দিন কার্যক্রম শুরু করা হয়।
- Smart board এর মাধ্যমে প্রতিটি ক্লাস গ্রহণ।
- ডিজিটাল হাজিরা মেশিনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাজিরা গ্রহণ।
- সকল শিক্ষার্থীর শিক্ষার মান যেন সন্তোষজনক হয় তার ব্যবস্থা করা ।
- বিষয় ভিত্তিক দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সম্পুর্ণ ও উদ্যোমী শিক্ষকমন্ডলীর তত্ত্বাবধানে পাঠদানের ব্যবস্থা।
- ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শিখানো এবং দূর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের পৃথক পরিচর্যা।
- ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান।
- শিক্ষকদের মাধ্যমে হাতের সুন্দর লেখা অনুশীলন, বানান ও উচ্চারণ শিখানোর পাশাপাশি দ্রুত লিখনে অভ্যস্ত করণে নিয়মিত প্রশিক্ষণ।
- নিয়মিত অভিভাবক সমাবেশ ও Home Visit কার্যক্রম।
- সর্বোচ্চ ৩০ জন শিক্ষার্থীর একটি গ্রপকে একজন শিক্ষকের মাধ্যমে সার্বিক তত্ত্বাবধান।
- একাডেমিক ভবনে পর্যাপ্ত আসবাবপত্র এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা।
- গরীব, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা।
- বিষয় সংশ্লিষ্ট পর্যাপ্ত ব্যবহারিক ক্লাস ও কম্পিউটার ল্যাব এর মাধ্যমে আইসিটি শিক্ষা।
- অধ্যায়ভিত্তিক ও মাসিক পরীক্ষা এবং মডেল টেষ্ট গ্রহণ, বিশেষ ক্লাসের পাশাপাশি আছে ম্যারাথন ক্লাস।
- ৫ম, ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণীতে স্পেশাল ক্লাসের ব্যবস্থা।
- ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্কুলের ডায়রী, যার মধ্য ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকের জন্য আলাদা ভাবে স্কুলের সকল নীতি মালা দেওয়া আছে।
- বিদ্যালয়ের কালচারাল ক্লাস, (নাচ, গান, নাটক, আবৃত্তি, ড্রইং, হামদ-নাত, কনভারসেশন, বিতর্ক প্রতিযোগীতা) ইত্যাদির সু-ব্যবস্থা।
- বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষার্থী ৩ দিন অনুপস্থিত থাকলে ফোনের মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়।
- (৬ষ্ঠ হতে ৮ম) শ্রেণী পর্যন্ত স্পেশাল কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা।
- প্রত্যেক মাসিক পরীক্ষায় মেধাতালিকা অনুযায়ী ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের পুরষ্কার দেওয়া হয়।
- সিসি ক্যামেরা দ্বারা শ্রেণির পাঠ পরিদর্শন ও সার্বিক নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ।
- ৩০ - ৩৫ জন শিক্ষার্থ ীর জন্য স্ট্যান্ডার্ড ক্লাস রুম।
- বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ও সুনির্দিষ্ট পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে পাঠদানের ব্যবস্থা।
- বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা/বনভোজন/নবীনবরণ/ এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান সহ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষামূলক বিনোদনের ব্যবস্থা।
- ভালো কাজ ও বিচ্যুতির জন্য শিক্ষার্থীদের যথাক্রমে পুরস্কার ও জবাবদিহিতার ব্যবস্থা।
- শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকগণের মধ্যে পারস্পরিক মতবিনিময়।
- নিয়মিতভাবে শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থীর সাথে প্রধান শিক্ষকের একান্ত মতবিনিময়।
- ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য আলাদা আবাসিক ব্যবস্থা।
- প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা।
- ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা ওয়াশরুমের ব্যবস্থা রয়েছে।
- শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা, আচার-আচারণ, সামাজিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় নিরপেক্ষতা, জেন্ডার সচেতনতা বিষয় গুলোতে অধিক দৃষ্টি প্রদর্শন করাই বিদ্যালয়ের মুখ্য বৈশিষ্ট্য।
(একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আধুনিক শিক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে আমাদের অগ্রযাত্রা)